পাহাড়ি ঢল ও বন্যার কারণে দিনাজপুরের সঙ্গে ঢাকাসহ সারাদেশের সড়ক ও রেলপথে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। রোববার সকাল থেকে আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত একই অবস্থা বিরাজ করছে।
নদীর পানির তোড়ে দিনাজপুর-পার্বতীপুর রেল-রুটের বিভিন্ন পয়েন্ট ডুবে গেছে। এজন্য রোববার থেকে জেলার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
সকালে টানা বৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে দিনাজপুরের প্রায় সব নদীর পানি বাড়ছে। পুনর্ভবা ও আত্রাই নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার করতোয়া, ঢেপা, ছোট যমুনাসহ অন্যান্য নদীর চিত্রও একই।
একই অবস্থা সড়ক পথেও। বন্যার কারণে দিনাজপুরের সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। জেলার মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাব্বি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ঢাকাসহ সারাদেশ থেকে কোনো যানবাহন দিনাজপুরে প্রবেশ করেনি এবং কোনো গাড়ি ছেড়ে যায়নি।
এদিকে দিনাজপুরে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ড। অফিসে পানি ঢুকে ভিজে গেছে জেএসসি পরীক্ষার খাতা। বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তোফাজ্জুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে দ্রুতগতিতে বিভিন্ন এলাকায় বন্যার পানি প্লাবিত হচ্ছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে শহরবাসী। অনেকে আশ্রয় নিয়েছে নিরাপদ স্থানে। এ ছাড়াও তিন ফুট পানির নিচে রয়েছে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি সড়ক। হিলি স্থলবন্দরে ব্যাহত হচ্ছে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম।
বন্যায় দিনাজপুরে ৪ উপজেলায় ৮ শিশুসহ ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, নিখোঁজ রয়েছে একজন। জরুরি মুহূর্তে ৬৬টি আশ্রয় কেন্দ্র ৯০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।ইতোমধ্যে সেনাবাহিনী বিজিবি সদস্যরা উদ্ধার কাজ শুরু করে দিয়েছে।